ইন্দোনেশিয়ায় ইয়ুথ হ্যাকাথনে ওমর ফারুক জয়ের স্বর্ণ জয়
০২ জুন, ২০২৪, 1:30 PM
NL24 News
০২ জুন, ২০২৪, 1:30 PM
ইন্দোনেশিয়ায় ইয়ুথ হ্যাকাথনে ওমর ফারুক জয়ের স্বর্ণ জয়
কক্সবাজার অফিস:
ইন্দোনেশিয়ার বালিতে অনুষ্ঠিত ১০ম বিশ্ব পানি সম্মেলনের ইয়ুথ হ্যাকাথনে বিভিন্ন দেশের প্রতিযোগীদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে টিম ‘আইরনিক’ প্রথম স্থান অধিকার করে স্বর্ণ পদক অর্জন করেছে।
গত শুক্রবার (২৪ মে) ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে এই টিমের দলনেতা জলবায়ুকর্মী মো: ওমর ফারুক জয়ের হাতে পুরষ্কার তুলে দেন ১০ম বিশ্ব পানি সম্মেলনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ইন্দোনেশিয়ার পাবলিক ওয়ার্কস এন্ড পাবলিক হাউজিং মন্ত্রী বাসুকি হাদিমুলজুনু।
গত ১৮মে থেকে ২৫মে ২০২৪ইং অনুষ্ঠিত হওয়া বিশ্ব পানি সম্মেলনে তিনি বাংলাদেশের তরুণদের প্রতিনিধিত্ব করেন। এছাড়াও তিনি ইন্দোনেশিয়া সরকারের অর্থায়নে সম্মেলনে অংশ গ্রহণের জন্য সম্পূর্ণ অর্থ সহযোগিতা পান।
এই সম্মেলনে বিশ্বের সবথেকে ধনকুবের ইলন মাস্ক, বিভিন্ন দেশের বর্তমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি ইন্দোনেশিয়া সরকারের আমন্ত্রণে অংশগ্রহণ করেন।
ইন্দোনেশিয়া সরকারের অর্থায়নে ১০ম বিশ্ব পানি সম্মেলনে বিভিন্ন দেশ থেকে ২০০ তরুণ অংশ নেন। তাদের নিয়ে আয়োজিত বালি ইয়ুথ হ্যাকাথনে টিম আইরনিক একটি স্বর্ণ পদক, তিনটি ব্রোঞ্জ পদক ও সম্মাননা স্মারক অর্জন করে।
এই সম্মেলনে অংশ নেওয়া তরুণদের নিয়ে গঠিত হয় চারজন করে টিম। এই টিমের নেতৃত্ব দেন বিভিন্ন দেশের তরুণরা।
পরবর্তীতে টিম তাদের আইডিয়া নিয়ে তিন দিনের কর্মশালায় বালির বিভিন্ন অঞ্চলে গিয়ে স্থানীয় মানুষের সঙ্গে কথা বলে।
প্রতিটি টিম ইন্দোনেশিয়া ও নিজ দেশের কমিউনিটি প্রবলেম নিয়ে আইডিয়া উপস্থাপনের জন্য গত ২২মে হ্যাকাথনে অংশ নেয়।
প্রাথমিক পর্যায় থেকে উত্তীর্ণ পাঁচটি দল ফাইনালে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পায়। এই পাঁচটি দল থেকে ১ম ও ২য় নির্বাচন করা হয়।
এতে ওমর ফারুক জয়ের দল প্রথম স্থান অধিকার করে। হ্যাকাথনে সর্বোচ্চ প্রশ্নোত্তরের জন্য বাংলাদেশকে থেকে ওমর ফারুক জয়কে স্বর্ণ পদক ও সম্মাননা স্মারক তুলে দেওয়া হয়। একইসঙ্গে দলের অন্যান্য সদস্যদের ব্রোঞ্জ পদক দেওয়া হয়। এছাড়া ২য় স্থান অধিকারী দলের প্রত্যেককে সম্মাননা স্মারক ও ব্রোঞ্জ পদক দেওয়া হয়।
কক্সবাজারের তরুণ ওমর ফারুক পরিবেশ ভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘উই ক্যান কক্সবাজার’ এর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী। জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানির ওপর জোর দিতে তিনি বিভিন্ন কার্যক্রমে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছেন।
এছাড়াও প্রতিবছর টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার বিষয়ে তরুণদের সচেতনতার পাশাপাশি দক্ষ করতে এবং তাদের ভয়েস তুলে ধরতে আয়োজন করেন এসডিজি ইয়ুথ সামিট। যেখানে প্রতিবছর ৩০০ থেকে ৪০০ তরুণ অংশগ্রহণ করে।