পটিয়ায় আ.লীগ নেতাকে গাছে বেঁধে পেটানোর ঘটনায় পুত্রসহ চেয়ারম্যান গ্রেফতার
নিজস্ব সংবাদদাতা
৩০ এপ্রিল, ২০২২, 3:33 PM
নিজস্ব সংবাদদাতা
৩০ এপ্রিল, ২০২২, 3:33 PM
পটিয়ায় আ.লীগ নেতাকে গাছে বেঁধে পেটানোর ঘটনায় পুত্রসহ চেয়ারম্যান গ্রেফতার
মোরশেদ আলমঃ- চট্টগ্রামের পটিয়ায় ইফতার মাহফিলের ব্যানারে নিজের নাম না থাকায় আওয়ামী লীগ নেতাকে মেরে রক্তাক্ত করে জামা খুলে গাছের সাথে বেঁধে পেটানোর ঘটনায় অভিযুক্ত পুত্র সহ চেয়ারম্যান কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শনিবার (৩০ এপ্রিল) ভোরবেলায় তাদেরকে নিজ বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন হাইদগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বি এম জসিম (৫৫) ও তার ছেলে ওয়াসি (২৪)।
এ বিষয়ে পটিয়া থানার ওসি রেজাউল করিম মজুমদার জানান, হাইদগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি জিতেন কান্তি গুহকে মারধরের ঘটনায় ২ জনকে শনিবার ভোরে গ্রেপ্তার করা করা হয়েছে। তাদের একজন হলেন হাইদগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বদরুউদ্দিন জসীম ও তার ছেলে ওয়াসি।
তিনি বলেন, এই ঘটনায় আহত জিতেন কান্তির ভাই তাপস কান্তি গুহ বাদী হয়ে ৭ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরো ৪-৫ কে অজ্ঞাত আসামি করে শুক্রবার রাতে পটিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
তিনি বলেন, ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।
উল্লেখ্য, শুক্রবার (২৯ এপ্রিল) বিকেলে হাইদগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি জিতেন কান্তি গুহকে গাছের সঙ্গে বেঁধে বেদরক মারধর করা হয়।
অভিযোগ রয়েছে, ইফতার মাহফিলের দাওয়াত ও ব্যানারে হাইদগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বদরুউদ্দিন মোহাম্মদ জসীমের নাম না থাকায় জিতেন কান্তি গুহকে মারধর করা হয়। ঘটনার পর আওয়ামী লীগ নেতা জিতেন কান্তি গুহের রক্তাক্ত ও গাছের সঙ্গে বেধে রাখার ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মূহুর্তে ভাইরাল হয়ে যায়।
অন্যদিকে শনিবার দুপুরে তাৎক্ষনিক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে উপজেলা আওয়ামী লীগ। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, হাইদগাও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের উদ্যোগে ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। যেখানে স্থানীয় হুইপ ও জেলা, উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকার কথা ছিক। ব্যানারে ইউপি চেয়ারম্যানের নাম না দেওয়াকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ নেতা জিতেন কান্তি গুহের উপর যে বর্বরোচিত হামলা চালানো হয়েছে তা নেক্কারজনক। এ ঘটনায় যারা জড়িত তাদেরকে দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।