ঢাকা ০৫ নভেম্বর, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
গণ অধিকার পরিষদের ২১ দফা কর্মসূচি নিয়ে পটিয়ায় ডাঃ এমদাদুল হাসানের গণসংযোগ “ভিন্নমতের কারণেই আমরা বারবার নির্যাতনের শিকার” — সৈয়দ ইমরান নটর ডেম বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণাধর্মী ‘ক্রিটিক্যাল ইনসাইটসের’ ৪র্থ সংখ্যা প্রকাশ পটিয়ায় আরো দুই তেল ছিনতাইকারী আটক ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটিতে সপ্তম আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটিতে সপ্তম আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত কোনো জোটে যাচ্ছেন না ইনসানিয়াত বিপ্লব কোনো জোটে যাচ্ছেন না ইনসানিয়াত বিপ্লব পটিয়ায় ছিঁড়ে পড়া বিদ্যুতের তারে দুই যুবকের মর্মান্তিক মৃত্যু আত্মহত্যা বা আত্মহনন একটি সাময়িক সমস্যার চিরস্থায়ী সমাধান নয়

বোনকে গলা কেটে খুন করলো ভাই

#

০৮ মার্চ, ২০২২,  7:03 PM

news image
বোনকে গলা কেটে খুন করে ভাই

নিজস্ব প্রতিনিধি : গোপালগঞ্জে কোটালীপাড়া উপজেলায় রাধাগঞ্জ ইউনিয়নের ছোট দিঘলীয়া গ্রামে বোনকে গলা কেটে খুন করে ভাই।

জানা গেছে, উপজেলার ছোট দিঘলীয়া গ্রামের জাকির হোসেন (৫৫) ও তার স্ত্রী নুরুন্নাহার বেগম (৪৫) দম্পতির ২৫ বছর আগে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই তাদের দুইজনের মাঝে পারিবারিক কলহ লেগেই থাকত। এরই মাঝে এই দম্পতির নাসিরউদ্দিন (২০), সিফাতুল্লাহ (১৮), শফিউল্লাহ (১০) ও হালিমা খাতুন (১২) নামে ৪টি সন্তান জন্মগ্রহণ করে। এদের মধ্যে নাসিরউদ্দিন বরিশালের একটি মাদ্রাসায় লেখাপড়া করে। অপরদিকে ছোট ভাই শফিউল্লাহ প্রতিবন্ধী।

ঘটনার দিন দুপুর ১২টায় পারিবারিক কলহের জের ধরে স্বামীর ওপর অভিমান করে নুরুন্নাহার বেগম বাড়ি থেকে অন্যত্র চলে যায়। অপরদিকে জাকির হোসেনও বাড়ি থেকে কাজে চলে যায়।

এ সময় পারিবারিক কলহ নিয়ে ভাই সিফাতুল্লাহ ও বোন হালিমা খাতুনের কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে সিফাতুল্লাহ ধারালো অস্ত্র দিয়ে হালিমা খাতুনের গলা কেটে হত্যা করে।

নাম প্রকাশ না করা শর্তে এক প্রতিবেশী বলেন, জাকির হোসেন একজন সহজ-সরল প্রকৃতির লোক। যার জন্য প্রায়ই স্বামী-স্ত্রীর মাঝে ঝগড়া হতো। ঝগড়ার সময় সিফাতুল্লাহ বাবা ও হালিমা খাতুন মায়ের পক্ষ নিত। সে কারণে সিফাতুল্লাহ তার বোনকে হত্যা করতে পারে।

হালিমা খাতুনের মা নুরুন্নাহার বেগম বলেন, আমি যখন বাড়ি থেকে বের হয়ে যাই তখন সিফাতুল্লাহ, হালিমা ও আমার প্রতিবন্ধী ছেলে শফিউল্লাহ বাড়িতে ছিল। সে সময় পারিবারিক কলহ নিয়ে উভয়ের মাঝে কথাকাটাকাটি হচ্ছিল। আমার ধারণা সিফাতুল্লাহই হালিমাকে হত্যা করেছে।

কোটালীপাড়া থানার ওসি মো. জিল্লুর রহমান বলেন, ঘটনার প্রকৃত কারণ এখনো জানা যায়নি। আমরা সিফাতুল্লাহকে আটকের চেষ্টা করছি। সে বর্তমানে পলাতক রয়েছে। তাকে খুঁজে পেলেই হালিমা হত্যার প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে। আমরা হালিমা খাতুনের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছি।

logo

প্রধান সম্পাদক : হেফাজুল করিম রকিব

সম্পাদক : নূরুন্নবী আলী