ঢাকা ০৫ নভেম্বর, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
গণ অধিকার পরিষদের ২১ দফা কর্মসূচি নিয়ে পটিয়ায় ডাঃ এমদাদুল হাসানের গণসংযোগ “ভিন্নমতের কারণেই আমরা বারবার নির্যাতনের শিকার” — সৈয়দ ইমরান নটর ডেম বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণাধর্মী ‘ক্রিটিক্যাল ইনসাইটসের’ ৪র্থ সংখ্যা প্রকাশ পটিয়ায় আরো দুই তেল ছিনতাইকারী আটক ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটিতে সপ্তম আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটিতে সপ্তম আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত কোনো জোটে যাচ্ছেন না ইনসানিয়াত বিপ্লব কোনো জোটে যাচ্ছেন না ইনসানিয়াত বিপ্লব পটিয়ায় ছিঁড়ে পড়া বিদ্যুতের তারে দুই যুবকের মর্মান্তিক মৃত্যু আত্মহত্যা বা আত্মহনন একটি সাময়িক সমস্যার চিরস্থায়ী সমাধান নয়

ব্রিটেনে পাকিস্তানিদের মধ্যে কাজিন বিবাহ কমছে

#

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

২৩ অক্টোবর, ২০২৪,  12:04 PM

news image
ছবি: সংগৃহীত

১৯৯০ সালে পাকিস্তান থেকে যুক্তরাজ্যে আসা ব্রিটিশ-কাশ্মীরী শাগুফতা রাশিদের জীবনে কাজিন বিয়ে ছিল স্বাভাবিক। তিনি তার স্বামীকে বিয়ের আগে ভাই হিসেবেই জানতেন। তারা যুক্তরাজ্যে পাঁচ সন্তানসহ সুখী জীবনযাপন করছিলেন। কিন্তু তার মেয়ের চোখের সমস্যা দেখা দিলে শাগুফতার জীবন এক দুঃখজনক মোড়ে ঘুরে যায়। কিছুদিন পরেই তার মেয়ে দৃষ্টিশক্তি হারায়। চিকিৎসকরা জানান যে, মেয়ের এমন একটি জেনেটিক সমস্যা আছে, যা কাজিন বিবাহের কারণে হতে পারে।

শাগুফতার বোন সাবিহা হাসানের জীবনেও এমন অভিজ্ঞতা রয়েছে। তার সন্তানদের মধ্যে একজন অটিজমে আক্রান্ত। তারা বুঝতে পারেন, পরিবারের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের বিবাহের কারণে এমন জেনেটিক সমস্যার সম্ভাবনা থাকে। 

কাছের আত্মীয়দের মধ্যে বিবাহকে কনস্যাংগুইন ম্যারেজ বলা হয়। যুক্তরাজ্যের ব্র্যাডফোর্ডে পরিচালিত এক গবেষণা বলছে, পাকিস্তানি পরিবারগুলির মধ্যে এমন বিবাহ শিশু মৃত্যুর অন্যতম কারণ হতে পারে। চিকিৎসকরা জানান, এই ধরনের বিবাহের ফলে গুরুতর জেনেটিক রোগ দেখা দিতে পারে, বিশেষ করে যারা একই সংস্কৃতিতে এমন বিবাহকে গ্রহণ করে।

কিন্তু নতুন প্রজন্মের মধ্যে এই ধরনের বিবাহের প্রতি অনীহা বাড়ছে। শাগুফতা ও সাবিহা মনে করেন, প্রযুক্তি ও স্বাস্থ্য সচেতনতা এই পরিবর্তনের পেছনে কাজ করছে। সোশ্যাল মিডিয়া ও খোলামেলা আলোচনা তরুণদের স্বাস্থ্যঝুঁকি সম্পর্কে সচেতন করছে। 

পরিচয় গোপন রাখার শর্তে এক ব্রিটিশ পাকিস্তানি নারী বলেন, কাজিন বিয়ে পরিবারের চাপ নয়, ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত হওয়া উচিত। তার ছেলে কাজিনকে বিয়ে করতে অস্বীকার করেছিল। তিনি তার পাশে দাঁড়িয়েছিলেন, যদিও পরিবারের অন্যরা তা সমর্থন করেনি।

তবে সমাজকর্মী বীনাশ ফারিসের মতে, ধর্মীয়ভাবে বিশ্বাসী পরিবারগুলোতে এখনো কাজিন বিবাহ প্রচলিত রয়েছে। যদিও সামগ্রিকভাবে এই প্রবণতা কমছে।

সূত্র: ডয়চে ভেলে

logo

প্রধান সম্পাদক : হেফাজুল করিম রকিব

সম্পাদক : নূরুন্নবী আলী