ঢাকা ০৫ নভেম্বর, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
গণ অধিকার পরিষদের ২১ দফা কর্মসূচি নিয়ে পটিয়ায় ডাঃ এমদাদুল হাসানের গণসংযোগ “ভিন্নমতের কারণেই আমরা বারবার নির্যাতনের শিকার” — সৈয়দ ইমরান নটর ডেম বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণাধর্মী ‘ক্রিটিক্যাল ইনসাইটসের’ ৪র্থ সংখ্যা প্রকাশ পটিয়ায় আরো দুই তেল ছিনতাইকারী আটক ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটিতে সপ্তম আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটিতে সপ্তম আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত কোনো জোটে যাচ্ছেন না ইনসানিয়াত বিপ্লব কোনো জোটে যাচ্ছেন না ইনসানিয়াত বিপ্লব পটিয়ায় ছিঁড়ে পড়া বিদ্যুতের তারে দুই যুবকের মর্মান্তিক মৃত্যু আত্মহত্যা বা আত্মহনন একটি সাময়িক সমস্যার চিরস্থায়ী সমাধান নয়

মেট্রোরেলের টিকিট কাটার দুর্ভোগ কমাতে চালু হচ্ছে নতুন পদ্ধতি

#

নিজস্ব সংবাদদাতা

২৪ জুন, ২০২৫,  3:40 PM

news image
ছবি: সংগৃহীত

মেট্রোরেল যাত্রীদের টিকিট কাটার দুর্ভোগ আরও সহজ ও বিস্তৃত করার উদ্যোগ নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এ সেবা চালু হলে ব্যাংকের ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার (পাঞ্চ) করে ভাড়া পরিশোধের ব্যবস্থাসহ একক যাত্রায় মোবাইল ব্যাংকিংয়ে ভাড়া পরিশোধ করতে পারবেন যাত্রীরা।

মেট্রেরেলের একাধিক সূত্র জানায়, এ সেবা চালু করতে নতুন টিকিট ব্যবস্থা ইউটিএস চালুর জন্য এরই মধ্যে প্রাথমিক দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। ৩০টির মতো প্রতিষ্ঠান এতে আগ্রহ দেখিয়েছে। এখন তাদের কাছ থেকে কারিগরি ও আর্থিক প্রস্তাব চাওয়া হবে। ঠিকাদার নিয়োগ, যন্ত্রপাতি স্থাপনসহ অন্যান্য প্রক্রিয়া শেষ করে গ্রাহককে এ সেবা দিতে ছয় মাস লাগতে পারে।

মেট্রোরেলের সূত্রটি আরও জানিয়েছে, ব্যবস্থাটি চালু করতে ডিএমটিসিএল বিনিয়োগ করবে না। যন্ত্রপাতি বসানো, সফটওয়্যার স্থাপন ও লেনদেন সম্পন্ন করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। টিকিট বেচার অর্থ থেকে একটা অংশ ঠিকাদারকে দেওয়া হবে। তা কত হবে এখনো ঠিক হয়নি। ঠিকাদারদের কাছ থেকে পাওয়া দরপ্রস্তাবের ওপর এটি নির্ভর করবে।

ডিএমটিসিএল সূত্র বলছে, বর্তমানে যে পদ্ধতিতে মেট্রোরেলের ভাড়া আদায় করা হচ্ছে সেটি ‘ক্লোজ লুপ’। এটি শুধু জাপানের সনি কোম্পানির কার্ড পড়তে (রিডিং) পারে। ফলে ডেবিট–ক্রেডিট কার্ড বা অন্য ব্যবস্থা কাজ করে না। নতুন ব্যবস্থায় ভাড়া আদায়ের জন্য মেট্রোরেল স্টেশনগুলোয় নতুন কিছু যন্ত্র বসানো হবে। সেগুলোতে ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড পাঞ্চ করে ভাড়া দেওয়া যাবে।

ডিএমটিসিএলের তথ্য বলছে, মেট্রোরেলের ৫৫ শতাংশ যাত্রী র‌্যাপিড বা এমআরটি কার্ডে যাতায়াত করেন। বাকি ৪৫ শতাংশ ব্যবহার করেন একক যাত্রার কার্ড। দীর্ঘদিন ধরেই এমআরটি ও র‌্যাপিড কার্ডের সংকট চলছে। এ ছাড়া বর্তমান ব্যবস্থায় স্থায়ী কার্ডে টাকা শেষ হয়ে গেলে গ্রাহককে সাধারণত স্টেশনে গিয়ে রিচার্জ করতে হয়। সে ক্ষেত্রে বেশির ভাগ সময় লাইনে দাঁড়াতে হয়। নতুন ব্যবস্থায় ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ডে টাকা থাকলে অনায়াসে যাতায়াত করা যাবে। এ ছাড়া একক যাত্রার কার্ডের জন্যও লাইনে দীর্ঘ সময় দাঁড়াতে হবে না। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে টিকিট কিনতে পারবেন যাত্রীরা।

logo

প্রধান সম্পাদক : হেফাজুল করিম রকিব

সম্পাদক : নূরুন্নবী আলী