সুন্দরবনে মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞায় মানবেতর জীবনযাপন জেলেদের
নিজস্ব সংবাদদাতা
০৫ জুন, ২০২৪, 10:53 AM
নিজস্ব সংবাদদাতা
০৫ জুন, ২০২৪, 10:53 AM
সুন্দরবনে মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞায় মানবেতর জীবনযাপন জেলেদের
তিন মাস মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞায় সুন্দরবন উপকূলের জেলেরা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। এ সময় তারা কোনও ধরনের খাদ্য সহায়তা না পাওয়ায় সংকটে পড়েছেন।
জানা যায়, সুন্দরবনে মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞায় জেলেরা অলস সময় পার করছেন। আর এতে খাদ্য সংকটে পড়েছেন উপকূলের জেলেরা। এজন্য সেখানকার জেলেরা তিন মাস সরকারি খাদ্য সহায়তার দাবি জানিয়েছেন। এছাড়া সহায়তা না দেয়া হলে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবিও জানান তারা।
এদিকে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা উপকূলীয় অঞ্চলে সমুদ্রগামী নিবন্ধিত জেলেদের খাদ্য সহায়তা দেয়া হয় বলে জানিয়েছেন। আর পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও স্থানীয় সংসদ সদস্য জানান, সুন্দরবনগামী জেলেদেরও খাদ্য সহায়তা বা পুনর্বাসনের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।
সাতক্ষীরার উপকূলীয় অঞ্চলে জেলেদের উপার্জনের একমাত্র উৎস হচ্ছে সুন্দরবন। সুন্দরবনে এ অঞ্চলের মানুষ মাছ ধরেন। আবার মধুও সংগ্রহ করেন। তারা নানান কাজের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করেন। তবে মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞায় তারা দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।
মৎস্য বিভাগের দেয়া তথ্যমতে, শ্যামনগর ও আশাশুনি উপজেলাসহ জেলায় সুন্দরবনগামী ৫০ হাজার ৩৯৬ জন জেলে আছেন। তবে অনিবন্ধিত জেলের সংখ্যা এক লাখ ছাড়িয়ে যাবে বলে স্থানীয় জেলেদের দাবি।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আনিছুর রহমান বলেন, সমুদ্রগামী নিবন্ধিত ১২ হাজার ৮৭৯ জন জেলে পরিবারকে প্রতি মাসে ৪০ কেজি চাল খাদ্য সহায়তা হিসেবে দেয়া হয়। আর সুন্দরবনগামী জেলেদের কিভাবে খাদ্য সহায়তার আওতায় আনা যায়, সেজন্য মাঠপর্যায়ে কাজ চলছে।
সাতক্ষীরা-৪ আসনের সংসদ সদস্য আতাউল হক দোলন জানান, সুন্দরবনগামী ১৮ হাজার ৫৪০ জন জেলের খাদ্য সহায়তা বা পুনর্বাসনের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।
গত ১ জুন সুন্দরবনের নদী, খালে মাছ ও বনে প্রাণীদের বিচরণ ও প্রজনন কার্যক্রমের সুরক্ষায় তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করে বন বিভাগ। আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত বনজীবী, সাধারণ জনগণ ও পর্যটক সুন্দরবনে প্রবেশ করতে পারবেন না।