ঢাকা ০৫ নভেম্বর, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
গণ অধিকার পরিষদের ২১ দফা কর্মসূচি নিয়ে পটিয়ায় ডাঃ এমদাদুল হাসানের গণসংযোগ “ভিন্নমতের কারণেই আমরা বারবার নির্যাতনের শিকার” — সৈয়দ ইমরান নটর ডেম বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণাধর্মী ‘ক্রিটিক্যাল ইনসাইটসের’ ৪র্থ সংখ্যা প্রকাশ পটিয়ায় আরো দুই তেল ছিনতাইকারী আটক ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটিতে সপ্তম আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটিতে সপ্তম আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত কোনো জোটে যাচ্ছেন না ইনসানিয়াত বিপ্লব কোনো জোটে যাচ্ছেন না ইনসানিয়াত বিপ্লব পটিয়ায় ছিঁড়ে পড়া বিদ্যুতের তারে দুই যুবকের মর্মান্তিক মৃত্যু আত্মহত্যা বা আত্মহনন একটি সাময়িক সমস্যার চিরস্থায়ী সমাধান নয়

৫০ বয়স পার হলেই অন্ধ হয়ে যায় যে গ্রামের পুরুষরা

#

১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২২,  5:45 PM

news image
দৃষ্টিহীনদের গ্রাম

অনলাইন ডেস্ক : উত্তর আমেরিকার দেশ পেরুর প্রত্যন্ত পাহাড়ি গ্রাম পারান ছোট্ট পাহাড়ি গ্রাম পারানে সব মিলিয়ে ৩৬০ জন মানুষের বাস। যাদের ৭৫ শতাংশই অন্ধ। এখানকার পঞ্চাশ বা তার বেশি বয়সি ৬০ জন পুরুষই নাকি অন্ধত্বের শিকার। অবস্থা এতটাই ভয়াবহ যে আজ পারানকে লোকে চেনে ‘অন্ধদের গ্রাম’ বা ‘দৃষ্টিহীনদের গ্রাম’ বলে। কিন্তু এর পেছনে রহস্য কী?

পারান, সবুজ-সুন্দরে ভরা একটি পাহাড়ি গ্রাম। কিন্তু গ্রামের সেই সৌন্দর্য্য উপভোগ করার অধিকার নেই সেখানকার অধিকাংশ বাসিন্দার! পঞ্চাশ পেরিয়ে গেলেই অন্ধ হয়ে যান এই গ্রামের পুরুষরা! উত্তর আমেরিকার দেশ পেরুর ওই প্রত্যন্ত পাহাড়ি গ্রামে এমনটিই ঘটছে বছরের পর বছর। 

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জিনগত কারণেই এই পরিণতি এই গ্রামের বাসিন্দাদের। প্রায় ৩ হাজার ফুট উচ্চতায় অবস্থিত এই গ্রামের বেশির ভাগ মানুষই চোখের একটি জিনগত রোগে আক্রান্ত। জন্মগত সেই রোগের নাম “রেটিনাইটিস” । যার ফলে একটা সময় চোখের “টানেল ভিশন” নষ্ট হয়ে যায়। এর ফলেই জীবনের মাঝপথে নেমে আসে অন্ধকার!

জানা গেছে, বহুকালে আগে সাতটি পরিবার গড়ে তোলে এই গ্রাম। তারাই নাকি সঙ্গে করে নিয়ে আসে অন্ধত্বের এই রোগ। সে সময় ডাক্তার দেখিয়ে চিকিৎসা করানোর কথা ভাবাই যেত না দুর্গম এই পারানে। সেখানে ছিল না কোনও চিকিৎসক। এমনকি কোনও রাস্তাও ছিল না ওই গ্রামে। সম্প্রতি মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে গ্রাম সংযোগকারী নতুন রাস্তা হয়েছে। যেহেতু অঞ্চলে সোনা, রুপার খোঁজে হাজির হয় একটি খনন সংস্থা। এই সংস্থার দৌলতেই গ্রামের বাসিন্দারা প্রথম চিকিৎসার সুযোগ পান। খনন সংস্থার চিকিৎসকরাই গ্রামের অন্ধ পুরুষদের চোখ পরীক্ষা করেন। এরপরই জানা যায়, এই রোগ আসলে জন্মগত। এক্স ক্রোমোজোমের সমস্যাই এই রোগের কারণ।

চিকিৎসকরা আরও জানান, যে মায়েদের এক্স ক্রোমোজোমের সমস্যা রয়েছে তাদের পুত্র সন্তান জন্ম নিচ্ছে ভবিষ্যৎ অন্ধত্বের নিয়তি নিয়েই। এ রোগের কোনও চিকিৎসা নেই বলেও জানিয়ে দিয়েছেন চিকিৎসকদের ওই দল।

logo

প্রধান সম্পাদক : হেফাজুল করিম রকিব

সম্পাদক : নূরুন্নবী আলী