ঢাকা ০৫ নভেম্বর, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
আবুধাবি টি-টেন রয়্যাল চ্যাম্পস-এ সাকিব, সঙ্গে ইংলিশ তারকা জেসন রয় গণ অধিকার পরিষদের ২১ দফা কর্মসূচি নিয়ে পটিয়ায় ডাঃ এমদাদুল হাসানের গণসংযোগ “ভিন্নমতের কারণেই আমরা বারবার নির্যাতনের শিকার” — সৈয়দ ইমরান নটর ডেম বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণাধর্মী ‘ক্রিটিক্যাল ইনসাইটসের’ ৪র্থ সংখ্যা প্রকাশ পটিয়ায় আরো দুই তেল ছিনতাইকারী আটক ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটিতে সপ্তম আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটিতে সপ্তম আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত কোনো জোটে যাচ্ছেন না ইনসানিয়াত বিপ্লব কোনো জোটে যাচ্ছেন না ইনসানিয়াত বিপ্লব পটিয়ায় ছিঁড়ে পড়া বিদ্যুতের তারে দুই যুবকের মর্মান্তিক মৃত্যু

চীনা পুলিশ স্টেশন যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশে, তদন্তে এফবিআই

#

১৮ নভেম্বর, ২০২২,  8:23 PM

news image

যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে গোপন চীনা ‘পুলিশ স্টেশন’ স্থাপন করা হয়েছে―এমন প্রতিবেদনে ‘উদ্বেগ’ প্রকাশ করেছে দেশটির কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই। সেফগার্ড ডিফেন্ডার এনজিও প্রকাশিত সেপ্টেম্বরের একটি প্রতিবেদনে নিউ ইয়র্কসহ সারা বিশ্বে এই স্টেশনগুলোর উপস্থিতি প্রকাশ পেয়েছে।

স্পেনভিত্তিক এনজিও সেফগার্ড ডিফেন্ডারের মতে, চীনা জননিরাপত্তা দপ্তর বিভিন্ন মহাদেশে ‘বিদেশি পুলিশ সার্ভিস স্টেশন’ প্রতিষ্ঠা করেছে। যুক্তরাজ্যের লন্ডনে দুটি এবং গ্লাসগোতে একটি স্টেশন ছাড়াও কানাডার টরন্টো এবং যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে স্টেশনের খোঁজ পেয়েছে তারা। এফবিআই প্রধান ক্রিস্টোফার রে জ্যেষ্ঠ রাজনীতিবিদদের বলেছেন, তার সংস্থা দেশজুড়ে এ ধরনের স্টেশনগুলোর প্রতিবেদন পর্যবেক্ষণ করছে। তিনি বলেন, ‘আমরা এই স্টেশনগুলোর অস্তিত্ব সম্পর্কে সচেতন। ’

এফবিআই প্রধান বলেন, তার কাছে এটি ভাবা আপত্তিজনক যে চীনা পুলিশ নিউ ইয়র্কে দোকান বসানোর চেষ্টা করবে। এটি সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করে। এ ছাড়াও সাধারণ বিচার বিভাগীয় এবং আইন প্রয়োগকারী সহযোগিতা প্রক্রিয়াকে বাধা দেয়।

চীনা স্টেশনগুলো মার্কিন আইন লঙ্ঘন করেছে কি না জানতে চাইলে রে বলেন, এফবিআই ‘আইনি ব্যাপারগুলো খতিয়ে দেখছে’।

একজন জ্যেষ্ঠ গোয়েন্দা কর্মকর্তা মার্কিন সিনেটের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি অ্যান্ড গভর্নমেন্টাল অ্যাফেয়ার্স কমিটির শুনানিতে বক্তৃতা করার সময় ব্যাপারটি নিয়ে জ্যেষ্ঠ আইন প্রণেতাদের কাছে তীব্র সমালোচনার শিকার হয়েছেন।

আন্তর্জাতিক অপরাধ মোকাবেলা এবং বিদেশে চীনা নাগরিকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন এবং অন্যান্য কনস্যুলার পরিষেবাসহ বিভিন্ন প্রশাসনিক পরিষেবা প্রদানের জন্য স্টেশনগুলো তৈরি করা হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে এনজিওটি স্টেশনগুলোর ‘আরো ভয়ংকর লক্ষ্য’ খুঁজে পাওয়ার কথা জানিয়েছে।

চীন অবশ্য বিদেশে স্টেশন চালানোর কথা অস্বীকার করেছে। রে বলেছেন, ‘এটি একটি বাস্তব সমস্যা। ব্যাপারটি নিয়ে আমরা আমাদের বিদেশি অংশীদারদের সঙ্গে  কথা বলছি। কারণ আমাদের দেশই একমাত্র দেশ নয়, যেখানে এটি ঘটেছে। ’

এদিকে সেফগার্ড ডিফেন্ডার আইরিশ রাজধানী ডাবলিনের কেন্দ্রস্থলে একটি চীনা ‘পুলিশ স্টেশনের’ কথা প্রকাশ করার পর গত মাসে দেশটির সরকার সেটি বন্ধ করার নির্দেশ দেয়। অন্যদিকে কানাডিয়ান গোয়েন্দা কর্মকর্তারা সম্প্রতি বলেছেন, তারা কানাডার মাটিতে চীন অনানুষ্ঠানিক ‘পুলিশ’ স্টেশন খুলেছে―এমন অভিযোগের তদন্ত করছে।


সূত্র : বিবিসি

logo

প্রধান সম্পাদক : হেফাজুল করিম রকিব

সম্পাদক : নূরুন্নবী আলী