ঢাকা ০৪ নভেম্বর, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
গণ অধিকার পরিষদের ২১ দফা কর্মসূচি নিয়ে পটিয়ায় ডাঃ এমদাদুল হাসানের গণসংযোগ “ভিন্নমতের কারণেই আমরা বারবার নির্যাতনের শিকার” — সৈয়দ ইমরান নটর ডেম বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণাধর্মী ‘ক্রিটিক্যাল ইনসাইটসের’ ৪র্থ সংখ্যা প্রকাশ পটিয়ায় আরো দুই তেল ছিনতাইকারী আটক ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটিতে সপ্তম আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটিতে সপ্তম আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত কোনো জোটে যাচ্ছেন না ইনসানিয়াত বিপ্লব কোনো জোটে যাচ্ছেন না ইনসানিয়াত বিপ্লব পটিয়ায় ছিঁড়ে পড়া বিদ্যুতের তারে দুই যুবকের মর্মান্তিক মৃত্যু আত্মহত্যা বা আত্মহনন একটি সাময়িক সমস্যার চিরস্থায়ী সমাধান নয়

সমাজে শিক্ষকদের সম্মান কোথায়

#

নিজস্ব সংবাদদাতা

০৪ জুলাই, ২০২২,  12:40 AM

news image

মোরশেদ আলম, গনমাধ্যমকর্মীঃ

মমতাময়ী শিক্ষকরাই তাদের মহৎ পেশা দিয়ে নতুন প্রজন্ম তথা জাতিকে সুশিক্ষিত করে অবিরত দক্ষ মানব সম্পদ তৈরি করে চলছেন। কোন দেশের ভবিষ্যৎ পুরোপুরি নির্ভর করে ঐ দেশের তরুন জনগোষ্ঠীকে সঠিকভাবে শিক্ষাদানের মাধ্যমে, আর সেই কাজটি করে থাকেন নিবেদিত প্রান শিক্ষক সমাজ।

আজ সমাজে শিক্ষকদের সম্মান কোথায়? শিক্ষকরা কেনো আজ এত লাঞ্চিত হচ্ছে? আধো কি এই প্রশ্ন গুলোর উত্তর সবার জানা আছে। সম্প্রতি সাভারে দশম শ্রেনীর এক ছাত্র ক্রিকেটের স্টাম্প দিয়ে পিটিয়ে তার শিক্ষককে হত্যা করেছে। নড়াইলে এক কলেজ অধ্যক্ষকে পুলিশ এবং হাজারো মানুষের সামনে জুতার মালা পরানো হয়েছে। আর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রের বিরুদ্ধে শিক্ষককে অসৌজন্যমূলক আচরনের অভিযোগ উঠেছে। এর আগে ও বিভিন্ন পেপার, পত্রিকায় শিরোনাম হয়; শিক্ষককে এক এমপি কানে ধরে উঠবস করানোর। এছাড়াও এক সরকারী কর্মকর্তাকে পায়ে ধরে মাফ চাইতে শিক্ষককে বাধ্য করার ও চিত্র সকলেই আমরা দেখতে পায়। কোথায় গিয়ে আজ ঠেকেছে নৈতিকতা? যে শিক্ষকরা জাতিকে আলোকিত করে, সমাজকে আলোকিত করে, সে শিক্ষকরাই আজ নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বারবার লাঞ্চিত হচ্ছে। দেশের কোথাও না কোথাও শিক্ষকগণ কমিটির সদস্যদের হাতে, কিংবা রাজনৈতিক কোনো নেতার হাতে, তথাকথিত ছাত্রনেতাদের হাতে, অভিভাবকের হাতে এমনকি শিক্ষার্থীদের হাতেও নিগৃহীত হচ্ছেন, লাঞ্ছিত হচ্ছেন, অপমানিত হচ্ছেন, শারীরিকভাবে আঘাত প্রাপ্ত হচ্ছেন। এর প্রভাব সমাজ, রাষ্ট্র, বিশ্ব ব্যবস্থায় অবশ্যই পরবে।

শিক্ষকরাই মানুষ গড়ার কারিগর ও শিক্ষা পরিজনের মূল নিয়ামক এবং সভ্যতার অভিভাবক। শিক্ষকরাই সভ্যতাকে লালন পালন করেন এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে দিক নির্দেশনাসহ মানসিক উন্নয়নে পূর্ণ মানুষ হিসেবে গড়ে তোলেন। এজন্য বাটর্রান্ড রাসেল বলেন, ‘Teacher are the guardian of civilization’ শিক্ষার পাশাপাশি শিক্ষকরা ছাত্র-ছাত্রীদের নৈতিক মূল্যবোধ শিখিয়ে থাকেন। তারা ছাত্র-ছাত্রীদের উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হতে পথ দেখান।

মনিষি উইল এন্ড এরিয়াল ডুরান্ট বলেছেন, শিক্ষা হলো সভ্যতার রুপায়ন। তারই উক্তির আলোকে আমি বলতে চাই সভ্যতার রুপায়ন তখনই হয় যখন একজন ছাত্র তার শিক্ষকের দেওয়া সঠিক শিক্ষা পরিপূর্ণভাবে নিজের জীবনে বাস্তবায়ন করতে পারে।

পরিশেষে বলতে চাই, শিক্ষকরা জাতি গড়ার কারিগর, আর সেই শিক্ষকের দেওয়া শিক্ষায় ভিত গড়ে উঠে একটি সভ্য জাতির। সমাজে শিক্ষকদের সম্মান ধরে রাখা সকলেরই দায়িত্ব। শিক্ষকরা যদি এইভাবে, নির্যাতিত হতে থাকে, লাঞ্চিত হতে থাকে, তাহলে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ভবিষ্যৎ কোথায় গিয়ে ঠেকবে? এখনই সময় সকল অমানুষিক, অমানবিকতার লাগাম টেনে ধরার। এখনই সময় জাতি গড়ার কারিগরদের যথাযথ সম্মান বুজিয়ে দেওয়ার। 

#এনএল/এমএ


logo

প্রধান সম্পাদক : হেফাজুল করিম রকিব

সম্পাদক : নূরুন্নবী আলী